মোঃ রুবেল : নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় লাশের মিছিলে যোগ দেয়া নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার রফিক জামান রিমু ও তার স্ত্রী সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সমন্বনয়ক সানজিদা হক বিপাশা এবং তাদের ৭ বছর বয়সী একমাত্র সন্তান অনিরুদ্ধ। তাদের বাড়ি উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের কেশারখিল গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত আবদুস সালেক। নিহত রিমুর চাচাত ভাইয়ের মেয়ে ফারজানা রিপা জানান, তার চাচা চাচী ও চাচাত ভাইয়ের লাশ দাফন করা হবে গ্রামের বাড়ি সোনাইমুড়িতেই। স্থানীয়রা বলছেন দীর্ঘদিন থেকে তারা ঢাকার ধানমন্ডির কলাবাগানে বসবাস করছেন তাই গ্রামের সাথে যোগাযোগ কিছুটা কম ছিল। তারা ২ ভাই ২ বোন। অপর ভাই স্বপরিবারে কানাডায় বসবাস করছেন। রফিক জামান রিমু -সানজিদা হক বিপাশা দম্পতির সম্পর্কে তাদের ঢাকার কাছের মানুষদের থেকে জানা যায়, তারা দু’জনই ছিলেন কর্মঠ। কাজের পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন সাংস্কৃতিক-সামাজিতক নানা সংগঠনের সাথে। যারা বন্ধুমহল ও সাংস্কৃতিক পরিমÐলে রিমু-বিপাশা নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। রফিক জামান রিমু ও সানজিদা হক বিপাশা দু’জনই পড়াশোনা করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাথে। রিমু প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করতেন। কর্মরত ছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। আর সানজিদা সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’এ। সোনাইমুড়ী থানার ওসি নাছিম উদ্দিন জানান, নিহত রফিক জামানের বাড়ীতে খোজ খবর নেয়া হচ্ছে। তাদের লাশ গ্রামে আনার ব্যাপারে তাদের পরিবারের লোকজনদের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।