১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


৬ বছর পর পাকিস্তানে মালালা

মোঃ রুবেল :

তালেবান জঙ্গিদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার ছয় বছর পর প্রথমবারের মত নিজের দেশে ফিরেছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী পাকিস্তানি তরুণী মালালা ইউসুফজাই।

মেয়েদের শিক্ষা বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদ করায় ২০১২ সালে কিশোরী মালালার মাথায় গুলি করেছিল তালেবান বন্দুকধারীরা। এখন ২০ বছর বয়সী মালালা সেই নারী শিক্ষার জন্যই কাজ করে চলেছেন।বিবিসি জানিয়েছে, ইসলামাবাদের বেনজির ভুট্টো বিমানবন্দরে বাবা-মায়ের সঙ্গে মালালার একটি ভিডিও পাকিস্তানি টেলিভিশনে এসেছে, যেখানে নিরাপত্তার ব্যাপক কড়াকড়ি দেখা গেছে।নিরাপত্তার কারণেই মালালার বিস্তারিত সফরসূচি গোপন রেখেছেন পাকিস্তানি কর্মকর্তারা। তবে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকন আব্বাসির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার মেয়ে মালালা ইউসুফজাইয়ের জন্ম ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই।নারী শিক্ষার বিরোধী তালেবান জঙ্গিদের এলাকায় বসে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার পক্ষে বিবিসি ব্লগে লেখালেখি করে তিনি যখন পশ্চিমা বিশ্বের নজর কাড়েন, তখন তার বয়স মাত্র ১১। কিন্তু নারী শিক্ষার পক্ষে কথা বলায় তাকে পড়তে হয় প্রাণনাশের হুমকির মুখে।২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সোয়াত উপত্যকার মিনগোরাত এলাকায় ১৪ বছর বয়সী মালালা ও তার দুই বান্ধবীকে স্কুলের সামনেই গুলি করে তালেবান জঙ্গিরা।

‘পশ্চিমাপন্থি’ ও ‘পশতু এলাকায় পশ্চিমা সংস্কৃতি প্রচার’ করার কারণে তাকে গুলি করা হয়েছে বলে ওই সময় দাবি করেছিল পাকিস্তান তালেবান। পাকিস্তানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করে বুলেট সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও পরে যুক্তরাজ্যের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয়।ওই ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে, মালালার স্বপ্ন সফল করতে ২০১২ সালের ১০ নভেম্বরকে ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ।তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানে ফিরতে না পারলেও মালালা যুক্তরাজ্যে থেকে তার লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, জর্ডান, সিরিয়া ও কেনিয়ার মেয়েদের শিক্ষার সহায়তায় বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাইকে সঙ্গে নিয়ে গঠন করেন মালালা ফান্ড।শিশু ও তরুণদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ২০১৪ সালে ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান মালালা ইউসুফজাই। সবচেয়ে কম বয়সে শান্তিতে নোবেল পাওয়া ব্যক্তি তিনি।  ‘ভয়ডরহীন পরিবেশে প্রত্যেক বালিকা পড়তে ও নেতৃত্ব দিতে পারবে’ এমন বিশ্ব গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন মালালা। বর্তমানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন তিনি।

 

ফেইসবুকে চাটখিল নিউজ ২৪ ডট কম


Shares