১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


শনাক্ত ১৭ বাংলাদেশির লাশ, ফিরবে মঙ্গলবার: ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনা

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ মার্চ) রাতে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের দেওয়া তালিকায় এ কথা জানানো হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯ জনের মধ্যে ২৮ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন নেপালের ১০ জন এবং চীনের একজন।

লাশ শনাক্ত হওয়া ১৭ বাংলাদেশি হলেন- তানভিন তাহিরা শশী, মো. রাকিবুল হাসান, মো. রফিকুজ্জামান, আকতারা বেগম, মো. হাসান ইমাম, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, বিলকিস আরা, এস এম মাহমুদুর রহমান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল আহমেদ, সানজিদা হক বিপাশা, নুরুজ্জামান এবং শিশু অনিরুদ্ধ জামান ও তামারা প্রিয়ন্ময়ী।

এর আগে বিকালে দেশটিতে সফররত ঢামেকের ফরেনসিক বিভারগের প্রধান সোহেল মাহমুদ জানান, ‘যে লাশগুলো শনাক্ত করা হয়েছে সেগুলো আপাতত মর্গে রাখা হবে। আশাকরি বাকি লাশগুলো আগামী সোমবার নাগাদ শনাক্ত হয়ে যাবে।’

‘সব প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশিদের লাশ আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার দেশে পাঠানো হবে। যেগুলো শনাক্ত করা যাবে না সেগুলো শনাক্তের জন্য তাদের পরিবার থেকে ডিএনএ স্যাম্পল নেয়া হবে’ বলেও জানান তিনি।

শনাক্ত হেওয়া নেপালিদের লাশ আজ রাতেই স্বজনদের দেখানো হবে। আর বাংলাদেশিদের লাশ আগামীকাল দেখতে পাবেন স্বজনরা’ যোগ করেন তিনি।

গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগ-মুহূর্তে বিধ্বস্ত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন ওই ফ্লাইটে। এর মধ্যে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৬ জন ও নেপালের ২২ জন। এছাড়াও চীনের একজন যাত্রীও রয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি, ১২ জন নেপালের ও একজন মালদ্বীপের নাগরিক।

ওই ফ্লাইটে থাকা আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচ জন নেপালের হাসপাতাল ছেড়েছেন। তাদের মধ্যে রেজওয়ানুলকে কাঠমান্ডুর ওএম হাসপাতাল থেকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছে। আর শাহরিন আহমেদ, রুবায়েত, মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও মেহেদীর ভাবি আলমুন নাহার অ্যানি দেশে ফিরেছেন। তাদের ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

ইউএস-বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম জানান, আহতদের চিকিৎসার সব খরচ ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ বহন করবে। একইসাথে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেনকে প্রধান করে ১৩ চিকিৎসকের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

ফেইসবুকে চাটখিল নিউজ ২৪ ডট কম


Shares