মো: রুবেল: ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশী জাহাজ আবদুল্লাহর ফাইটার হিসেবে কর্মরত সালেহ আহম্মদ এর স্ত্রী ও ৩ কন্যার কান্না যেন থামছেই না। সালেহ আহমদ চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের সাখায়েত উল্যার ছেলে। চার ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তার স্ত্রী ও ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে। জাহাজ অপহরনের খবরের পর থেকে সালেহ আহম্মদের বাড়ীতে তার ভাই, বোন, স্ত্রী, সন্তান ও স্বজনদের কান্নান রোল পড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কান্না জড়িত কণ্ঠে তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন বুধবার বিকেলে স্বামীর সাথে তার শেষ কথা হয়। তার স্বামী তাকে জানান, দস্যুরা তাদের ফোন নিয়ে গেছে এবং তাদেরকে একটি কক্ষে আটক করে রেখেছে। তিনি স্ত্রীকে শান্ত থাকতে ও তার জন্য দোয়া করতে বলেন। তিনি আরও বলেন বেঁচে থাকলে দেখা হবে। তার তিন কন্যাকে দেখে রাখার জন্য অনুরোধ করেন। সালেহ আহম্মদের কণ্যা তাফসি (১৪) কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন আমার বাবা আমাকে কেন ফোন দিচ্ছে না? আমি আমার বাবাকে জীবিত দেখতে চাই।
সালেহ আহম্মদের ভাই হাসান ফাহিম বলেন বাবার মৃত্যুর পর বড় ভাই আমাদের ভাই-বোনদের লালন পালন করেছেন। ভাইয়ের অপহরনের খবর পেয়ে আমাদের পরিবারের সবাই খুবই চিন্তিত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সালেহ আহম্মদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার সরকারের নিকট দাবী জানিয়ে বলেন, আমার স্বামীকে জীবিত আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), এমদাদুল হক জানান, অপহৃত জাহাজের ফাইটার সালেহ আহম্মদের ব্যাপারে তিনি সার্বক্ষনিক ভাবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।