০৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
চাটখিলে নবম পে-স্কেলের দাবীতে মানবন্ধন চাটখিলে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় ৪ আরোহীর ৩ জনেরই মৃত্যু চাটখিল আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার হল থেকে শিক্ষার্থীদেরকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ চাটখিলে ২ টি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হচ্ছে না চাটখিলে ১০৪ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না চাটখিলে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত ১, আহত-২ চাটখিলে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরিক্ষা স্থগিত চাটখিলে নোয়াখালীর নবাগত জেলা প্রশাসকের মত বিনিময় চাটখিলে শিক্ষকের স্ত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে অপর শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা চাটখিলে স্কুল ছাত্রের রহস্য জনক মৃত্যু

‘গ্রিনল্যান্ডের বরফ দ্রুত গলছে, বাংলাদেশ ঝুঁকিতে’

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৬৫১ বার পড়া হয়েছে

মো: রুবেল:  নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ঝুঁকি প্রবণ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় বিপদের পরিমাণ বেড়েছে। বরফ গলার পরিমাণ দ্রুতহারে বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ, মায়ামি ও সাংহাইসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের বিভিন্ন এলাকা বিপদাপন্ন হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। কারণ বর্তমানে পৃথিবীর ভূমিভিত্তিক বরফের পরিমাণ সংকুচিত হচ্ছে।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, উপকূলীয় এলাকার বিপদের কারণ হিসেবে বরফ গলার পরিমাণকে সামনে আনা হচ্ছে। বিষয়টি এ কারণে সামনে আসছে, কারণ বিজ্ঞানীদের ধারণার চেয়েও দ্রুত গতিতে গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলছে। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৩ সালের পর বরফ গলার পরিমাণ চারগুণ বেড়েছে। আটলান্টিক মহাসাগরের যেসব জায়গায় বরফ গলছে, সেসব জায়গায় আগের তুলনায় অনেক বড় আকৃতির হিমবাহ গলে যাচ্ছে।

ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির জিওডাইনামিকস বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণাটির প্রধান লেখক মাইকেল বেভিস বলছেন, ‘আমরা জানতাম কিছু বড় হিমবাহ থেকে বরফ গলার হার বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের একটি বড় সমস্যা। কিন্তু এখন আমরা একটি দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত করেছি। ক্রমবর্ধমানহারে বড় আকারের বরফপিণ্ড পানির সঙ্গে চলে যাচ্ছে, যেটি নদীর মাধ্যমে সাগরে প্রবাহিত হচ্ছে।’

মাইকেল বেভিস আরও বলছেন, ‘একটি বিষয়ই আমরা করতে পারি, সেটি হলো খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রশমিত করা। বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অতিরিক্ত মাত্রায় বাড়বে। আমরা দেখছি, বরফখণ্ড গরম হওয়ার মাত্রাও উদ্বেগজনক।’

বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রিনল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দ্বীপের যে অংশটির অনেকটাই হিমবাহমুক্ত, সেই অংশে ২০০৩ সালের পর এক দশকে সবচেয়ে বড় বরফ গলার ঘটনাটি ঘটেছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ভূপৃষ্ঠের ওপরের বরফ গলছে। আর এই বরফগলা পানি নদীর পানির প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়ে মহাসাগরে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে।

নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, গ্রিনল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে আগে উপকূলীয় শহরগুলোর জন্য বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে দেখা হয়নি। কিন্তু এখন এটিই ভবিষ্যতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হয়ে দাঁড়াবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

‘গ্রিনল্যান্ডের বরফ দ্রুত গলছে, বাংলাদেশ ঝুঁকিতে’

আপডেট সময় : ০৬:০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৯

মো: রুবেল:  নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ঝুঁকি প্রবণ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় বিপদের পরিমাণ বেড়েছে। বরফ গলার পরিমাণ দ্রুতহারে বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ, মায়ামি ও সাংহাইসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের বিভিন্ন এলাকা বিপদাপন্ন হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। কারণ বর্তমানে পৃথিবীর ভূমিভিত্তিক বরফের পরিমাণ সংকুচিত হচ্ছে।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, উপকূলীয় এলাকার বিপদের কারণ হিসেবে বরফ গলার পরিমাণকে সামনে আনা হচ্ছে। বিষয়টি এ কারণে সামনে আসছে, কারণ বিজ্ঞানীদের ধারণার চেয়েও দ্রুত গতিতে গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলছে। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৩ সালের পর বরফ গলার পরিমাণ চারগুণ বেড়েছে। আটলান্টিক মহাসাগরের যেসব জায়গায় বরফ গলছে, সেসব জায়গায় আগের তুলনায় অনেক বড় আকৃতির হিমবাহ গলে যাচ্ছে।

ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির জিওডাইনামিকস বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণাটির প্রধান লেখক মাইকেল বেভিস বলছেন, ‘আমরা জানতাম কিছু বড় হিমবাহ থেকে বরফ গলার হার বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের একটি বড় সমস্যা। কিন্তু এখন আমরা একটি দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত করেছি। ক্রমবর্ধমানহারে বড় আকারের বরফপিণ্ড পানির সঙ্গে চলে যাচ্ছে, যেটি নদীর মাধ্যমে সাগরে প্রবাহিত হচ্ছে।’

মাইকেল বেভিস আরও বলছেন, ‘একটি বিষয়ই আমরা করতে পারি, সেটি হলো খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রশমিত করা। বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অতিরিক্ত মাত্রায় বাড়বে। আমরা দেখছি, বরফখণ্ড গরম হওয়ার মাত্রাও উদ্বেগজনক।’

বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রিনল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দ্বীপের যে অংশটির অনেকটাই হিমবাহমুক্ত, সেই অংশে ২০০৩ সালের পর এক দশকে সবচেয়ে বড় বরফ গলার ঘটনাটি ঘটেছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ভূপৃষ্ঠের ওপরের বরফ গলছে। আর এই বরফগলা পানি নদীর পানির প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়ে মহাসাগরে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে।

নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, গ্রিনল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে আগে উপকূলীয় শহরগুলোর জন্য বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে দেখা হয়নি। কিন্তু এখন এটিই ভবিষ্যতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হয়ে দাঁড়াবে।