২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


যে গাছটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মহৌষধ!

মো: রুবেল : ডায়াবেটিস (বহুমূত্র রোগ) একটি হরমোন সংশ্লিষ্ট রোগ। রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতিজনিত অসামঞ্জস্য দেখা দিলে অর্থাৎ শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতিই হল এ রোগের মূল কথা।

তবে ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিরাময় অযোগ্য হলেও একে নিয়ন্ত্রণে রাখার নানা উপায় বাতলে দেন চিকিৎসকরা।

ডায়াবেটিস রোগে ভেষজ কেমন উপকারী তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। প্রাচীনকাল থেকেই নানা জটিল অসুখে আয়ুর্বেদিক ভেষজ চিকিৎসা চমৎকার ফলাফল দিচ্ছে।

আয়ুর্বেদিকদের মতে, ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদের বেশ কয়েকটি ওষুধ রয়েছে যা রক্তের চিনির মাত্রা পরিচালনা করতে সহায়তা করে।

আর রক্তের চিনির নিয়ন্ত্রণের জন্য আয়ুর্বেদ যে গাছটি ব্যবহার করে তার নাম – সদাবাহার।

এ ঔষধি গাছটির আদিভূমি আফ্রিকার মাদাগাস্কার হলেও ভারতীয় উপমহাদেশে এটি ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত।

এই গাছের ফুল এবং এর মসৃণ, চকচকে এবং গাঢ় সবুজ রঙের পাতাগুলো টাইপ -২ ডায়াবেটিসের জন্য প্রাকৃতিক ঔষধ হিসাবে কাজ করে বলে দাবি আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের।

ভারতীয় আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশুতোষ গৌতম জানান, সদাবাহার ফুল এবং পাতাগুলি রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। সকালে ফুল ও পাতা থেকে ভেষজ চা তৈরি করা যায় অথবা আপনি কার্যকর ফলাফল পেতে দিনে তিন থেকে চারটি পাতা চিবোতেও পারেন।

দীর্ঘদিন ধরে আয়ুর্বেদিক ও চীনা ওষুধে সদাবাহার ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সদাবাহার উদ্ভিটটি ডায়াবেটিস ছাড়াও ম্যালেরিয়া, গলার ঘা এবং লিউকেমিয়ার মতো রোগের হার্বাল চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত করা হয়।

তারা বিশ্বাস করেন, এই উদ্ভিদে ১০০ টিরও বেশি অ্যালকালয়েড রয়েছে, যার মধ্যে ভিনক্রিস্টাইন এবং ভিনব্লাস্টাইন তাদের ঔষধি গুণের জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।

জেনে নিই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সদাবাহারের ব্যবহার:

প্রথমে সদাবাহারের তাজা পাতাগুলো শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করতে হবে। এসব গুঁড়ো পাত্রে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে পাউডারগুলো যেন বাতাসের সংস্পর্ষে বেশি না থাকে।

এক চামচ শুকনো পাতার গুঁড়ো প্রতিদিন পানিতে বা ফলের রসে মিশিয়ে খেতে হবে।

এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের সদাবাহার গাছ হতে তিন-চারটি পাতা ছিড়ে নিয়ে ধুয়ে চিবিয়ে রস খেলে মিলবে দারুন উপকার।

এটি সারাদিন রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

সদাবাহার গাছের গোলাপী রঙের ফুলের কার্যকারিতাও অনেক। এক কাপ ফুটন্ত পানিতে এ ফুল ভিজিয়ে খালি পেটে প্রতিদিন সকালে পান করলে মিলবে উপকার।

তবে এ নিয়ে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন আর্য়ুবেদিক চিকিৎসকগণ। সবকিছুর আগে যে কোনো ডায়াবেটোলজিস্ট এর পরামর্শ নিতে বলছেন তারা।

কেননা রোগী যদি ডায়াবেটিসের জন্য কোনো ওষুধ খান এবং আবার এই ঔষধি গাছটিও খান তাহলে রাতারাতি রক্তশর্করার মাত্রা কমে গিয়ে বিপদ হতে পারে।

ফেইসবুকে চাটখিল নিউজ ২৪ ডট কম


Shares