মোঃ রুবেল : চাটখিল উপজেলার ৭নং হাটপুকুরিয়া-ঘাটলাবাগ ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি ঘোষনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক তৈরী হয়েছে স্থানীয় যুবদলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে। এই নিয়ে নবগঠিত কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ২জন যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাসুদ আলম ও মিল্লাত পদত্যগের হুমকি দিয়েছেন। স্থানীয় নেতারা সাংবাদিকদের জানান, সম্প্রতি হারুনুর রশিদকে সভাপতি আবদুর রহমান সুজনকে সাধারন সম্পাদক করে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আনিছ আহমেদ হানিফ স্বাক্ষরিত একটি সাদা কাগজে ৯ সদস্য বিশিষ্ট ইউনিয়ন যুবদলের আংশিক কমিটি দেয়া হয়। হাটপুকুরিয়া ইউনিয়ন যুবদলের পদ-প্রত্যাশী নেতা সাইফুল ও মাসুদ নুতন ঘোষিত এই কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের জানান, দলীয় গঠনতন্ত্রকে উপেক্ষা করে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও ইউনিয়ন এবং উপজেলা যুবদলের সিনিয়র নেতাদের না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে উক্ত ইউনিয়নের গুটি কয়েক জনকে ডেকে এনে কমিটি দেওয়া হয়েছে,যাহা সম্পুর্ন নিয়ম বর্হিভূত ও দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। তারা তাদের নেতাদের উদ্দেশ্য প্রশ্ন করে বলেন,দলিয় প্যাড বিহীন একটি সাধারন সাদা কাগজে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিবের স্বাক্ষর ছাড়া উক্ত কমিটির বৈধতা কি? তারা এই অবৈধ কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন বলেও জানান। তারা দ্রুত এই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে সৎ ও যোগ্য নেতাকর্মীদের নিয়ে পুনরায় সবার গ্রহন যোগ্য কমিটি করার আহবান জানান। এই ব্যপারে ৭নং হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের অধিবাসী চাটখিল উপজেলা বি.এন.পির সহ সম্পাদক মুহাম্মদ বিপুল ইসলাম পাটোয়ারীর সাথে কথা বললে তিনি উপজেলা যুবদলের আহবায়কের ভুমিকা ও তার এটা কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকান্ড বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।বিপুল বলেন, এখন সময় এসেছে ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়নের তাই উক্ত বিষয়ে আমি আমাদের প্রিয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব ব্যারিস্টার এ.এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ভাই ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ভাই এবং সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবু হানিফ ভাইয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে সকলে কাছে গ্রহনযোগ্য একটি শক্তিশালী কমিটি দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্চুক উপজেলা যুব দলের এক নেতা বলেন, দলীয় প্যাড থাকার পরও এমন সাধারন কাগজে কমিটি দেয়া আদৌ ঠিক হয়নি। এ ব্যপারে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আনিছ আহমেদ হানিফ বলেন, সকলের মতামত নিয়ে কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। এবং ত্যগীদেরকে মূল্যায়ন করেই কমিটি করা হয়েছে।