মো: রুবেল : সব কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায় কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু।
বৃহস্পতিবার কাঁচপুর ও মেঘনা সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী ১০ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত হওয়ার পর থেকেই কাঁচপুর, মেঘনা এবং মেঘনা-গোমতী সেতু দিয়ে এক লেনে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে যানজট লেগেই আছে। তার উপর সেতুগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। এই তিনটি সেতুর কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি যানবাহন চলাচল ও মালামাল পরিবহণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকির মুখে থাকা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিদ্যমান এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর পাশেই আরো তিনটি সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে কাজ শুরু করে সরকার। একসঙ্গে তিনটি সেতু নির্মাণ এবং পুরনো তিনটি সেতু পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে ধরে ২০১৯ সালের অক্টোবরের মধ্যে সেতুগুলো নির্মাণের সময়কাল ধরা হয়। এ লক্ষ্যে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে ঠিকাদারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সড়ক বিভাগ। ২০১৬ সালে তিন সেতু নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ শুরু হয়।
এদিকে, মে মাসে মেঘনা দ্বিতীয় সেতু এবং ঈদের আগে গোমতি দ্বিতীয় সেতুর উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে।
দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা এবং মেঘনা-গোমতী সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার (জাইকা) আর্থিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের ভোগান্তি থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগিরা তাকিয়ে আছেন এই তিনটি সেতুর দিকে।