নিজের ৪৯তম জন্মদিনে এ ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন তিনি। ১৯৬৯ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
কনকচাঁপা বলেন, ‘এ বছর আমি ৪৯ এ পা রাখব। কর্মহীন দীর্ঘজীবন আমার খুবই অপছন্দ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকতে চাই, সুরের সঙ্গে ন্যায়ের সঙ্গে ভালো কাজের সঙ্গেই থাকতে চাই। আরও ভালো কিছু কাজ করতে চাই। এই আমার বড় ইচ্ছা। মৃত্যুর পর শহীদ মিনারে যেতে চাই না একদমই। এটাও আমার বড় ইচ্ছা, মসজিদের পাশে কবর চাই এটাও আরেকটি সুপ্ত ইচ্ছা।’
জন্মদিনে বেশ কিছু ইচ্ছে-অনিচ্ছার কথা জানিয়ে কনকচাঁপা বললেন, ‘প্রতিটি কর্মদিবসই আমার জন্মদিন। কাজের মাঝেই এবং কাজের জন্যই আমার জন্ম। আমি একজন আপাদমস্তক কণ্ঠশ্রমিক। যে মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্য এই পৃথিবীর জন্ম তার জন্মদিন মৃত্যু দিবস পালন যেখানে নিয়ম নেই সেখানে আর কারো জন্মদিবস পালন অর্থহীন। যদিও সেপ্টেম্বর মাস এবং এগারো সংখ্যা আমার খুবই প্রিয়। হাজার হলেও আমি মানুষ, নিজেকে ভালোবাসি, তাই হয়তো এর বাইরে যাওয়ার সাধ্য আমার নেই। তবে আমি কখনোই আমার জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন পালন করা হোক এ আমি চাই না।’
তবে দিনটি উপলক্ষে সবার কাছে দোয়া চেয়ে এ শিল্পী বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে সুন্দর একটি জীবন হয়েছে আমার। সুস্থ সুন্দরভাবে বেঁচে আছি, তাই তার কাছে সবসময়ই আমি শুকরিয়া আদায় করি। আগামী দিনগুলোও সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যেন এভাবে বেঁচে থাকতে পারি এটাই কাম্য।’
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর যশোরে একটি স্টেজ শোতে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন বলে জানান কনকচাঁপা। প্রসঙ্গত, গানের বাইরে লেখালেখিও করেন এ শিল্পী।
২০১০ সালে অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘স্থবির যাযাবর’ বই প্রকাশের মাধ্যমে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার। এরপর ‘মুখোমুখি যোদ্ধা’, ‘মেঘের ডানায় চড়ে’ ও ‘কাটা ঘুড়ি’ নামে আরও তিনটি বই লিখেছেন। ২০১৬ সালে তার একক চিত্রপ্রদর্শনীও অনুষ্ঠিত হয়।