মো: রুবেল: নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সেবার বেহাল দশা বিরাজ করছে। চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বর্তমানে ৫০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। এ হাসপাতালে আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবার ব্যাহত হচ্ছে। অনুমোদিত পদে চিকিৎসক নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারী না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে সাধারন মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।
হাসপাতালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালের আল্টাসনোগ্রাম মেশিনটি গত ৬ বছর যাবত অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে গত ৬ বছরে আল্ট্রা সনোগ্রাম মেশিন মেরামতের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে গত ২৫/০৯/২০২১ইং সনে ডাঃ জোবেদ হাসান যোগ দান করেন। কিন্তু যোগদানের পর থেকে ডাঃ জোবেদ হাসান প্রেষনে তার নিজ জেলার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছে। তিনি চাটখিল সরকারী হাসপাতাল থেকে বেতন-ভাতা গ্রহন করলেও চাকুরী করছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ জোবেদ হাসান জানান, সরকারের নির্দেশনা মেনে তিনি প্রেষনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। চাটখিল সরকারী হাসপাতালে ডাক্তারের পদ রয়েছে ৩১ জন। তার মধ্যে ২ জন প্রেষনে অন্যত্র চাকুরী করছেন। বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ১২ জন, বাকী ১৭ জন ডাক্তারের পদ শূণ্য রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সহকারী পদে ১৫ জন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শন-৩ জন, পরিছন্ন কর্মী পদে ২ জন ও ষ্টোর কিপার, পরিসংখ্যানবিদ, ক্যাশিয়ার, প্রধান সহকারী, প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক পদে কোন লোক নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাক আহমেদ স্বীকার করে মানব জমিনকে জানান, অত্র হাসপাতালে শূণ্য পদে জনবল না থাকায় উপজেলায় জনগনের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ২০১৭ সন থেকে আল্ট্রা সনোগ্রাম মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার পত্রের মাধ্যমে জানানো হলেও এ পর্যন্ত কোন নতুন আল্ট্রা সনোগ্রাম মেশিন পাওয়া যায়নি এবং পুরাতন আল্ট্রা সনোগ্রাম মেশিনটির মেরামতের কোন ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ করেনি।